ওহাইও সংবাদ: আমেরিকায় প্রত্যেক বাবা-মায়ের স্বপ্ন থাকে তার সন্তান কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করবে। জীবনের নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। পেশাগত জীবন শুরু করবে এবং সফল মানুষ হবে। যারা সঠিক পথে ও লেখাপড়ার সঠিক ট্র্যাকে থাকতে পারে, তারা সফল হয়। যারা সঠিক পথে থাকতে পারে না কিংবা লেখাপড়ার ট্রাকে থাকতে পারে না, তারা হোঁচট খায়। অনেকেই ঝরে যায়। কঠিন এক বাস্তবতার মধ্য দিয়ে, পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে যারা মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করে ভালো ফলাফল করে, তারা সফলতার স্বাদ পায়। কেবল যিনি গ্র্যাজুয়েশন করছেন, এটা তার একার আনন্দ নয়, এই আনন্দ সবার। এই আনন্দে তার পরিবার, আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবও শরিক হন। সব মিলিয়ে একটি সাফল্যের পথের সূচনা হয়।
যারা চলতি বছরে বিভিন্ন বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন, তাদের পরিবারে বইছে খুশির বন্যা। বাংলাদেশি আমেরিকান ও বাংলাদেশি প্রবাসী আমেরিকানদের অনেকের পরিবারই এই আনন্দের বন্যায় ভাসছে। তারা এতটাই আনন্দিত যে নিজেরা পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন পার্টি করছেন। আবার কেউ কেউ গ্র্যাজুয়েট করা সন্তানের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে শেয়ার করছেন।
ওহাইও সংবাদের প্রকাশক তানিয়া সিদ্দীকা প্রিয়া ও সম্পাদক লিটন কবীর, এর বড় ছেলে সাদমান রাফিদ স্কুল গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। গত ২৬ মে তার গ্র্যাজুয়েশন সিরিমনি অনুষ্ঠিত হয়। মেট্রো আর্লি কলেজ অ্যান্ড হাই স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন সাদমাদ রাফিদ। রাফিদ ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটিতে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ চান্স পেয়েছে, ভবিষৎ এ সে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং হতে চাই। রাফিদ ও তার পরিবার সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।
রাফিয়াহ্ জামান মিন্না, পিতা: মোহাম্মেদ মাহমুদুজ্জামান লিমন, মাতা: তানজিলা বেগম, ডাবলিন ছায়োটা হাই স্কুল থেকে class valedictorian নিয়ে স্নাতক পাশ করেছে। তার ছোটবেলা থেকেই লক্ষ্য ছিলো আইনজীবী হবে। রাফিয়াহ্ ওহাইও ইস্টেট বিশ্ববিদ্যালয় এ এডমিশন করেছে, মেজার হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ইস্টাডিজ ইস্পেসিয়ালাইজিং ইন্ ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স এন্ড ডিপ্লোমেসী। রাফিয়াহ্ ডাবলিন ছায়োটা হাই ইস্কুলে অধ্যয়ন রত অবস্থায় লুকরছ এবং ফিল্ড হকি খেলতো। ফিল্ড হকিতে হয়ে ছিলো অধিনায়ক এবং অর্জন করেছে চার বছর ভার্সিটি এওয়ার্ড। ২০১১ সালে ইমিগ্রেশন ভিসাতে বাবা মার সাথে রাফিয়াহ্ আমেরিকাতে আসেন, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৬ বছর। তার চাচার নাম মোহাম্মদ হানিফুজ্জামান মুক্তি। রাফিয়াহ্ ও তার পরিবার সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।
প্রীতি দাস মেট্রো আর্লি কলেজ হাই স্কুল থেকে স্টেম প্রোগ্রাম সহ একাডেমিক ডিপ্লোমা ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি সাউথ এশিয়ান স্টাডিজে ওহাইও ষ্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে মাইনর ডিগ্রীও অর্জন করেন। এবং তার BSN ডিগ্রীর জন্য ৪০+ কলেজ ক্রেডিট ঘন্টাও অর্জন করেছেন। প্রীতি তার শখ ও পাঠ্যক্রম বহির্ভুত বিষয়গুলো তার নিয়মিত পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি কমিউনিটি সার্ভিসের মাধ্যমে তার কমিউনিটির জন্য পরিসেবাও দিয়েছেন। প্রীতির অধ্যায়নের বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল NAHS, NSHSS, রবোটিক্স, ষ্টুডেন্ট কাউন্সিল, স্টেম প্রোগ্রাম সহ অন্যান্য। প্রীতি অধ্যায়নকালীন সময়টাতে ওহাইও ষ্টেট ইউনিভার্সিটির সকল কার্যক্রমে নিবেদিত ও একনিষ্ঠ ছিলেন। যারা গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন, ওহাইও সংবাদের পক্ষ থেকে তাদের সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আপনার মতামত লিখুন :