বাংলাদেশের একুশতম রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর দুই মেয়াদ শেষ করে গত রবিবার, ২৪ এপ্রিল তাঁর উত্তরসুরী সাহাবুদ্দিন আহমেদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে ব্যক্তিগত জীবনে ফিরে গেছেন । দশ বছর তিনি পঁচিশ একর জমির উপর নির্মিত বঙ্গভবনে পরিবার নিয়ে বসবাস করেছেন । এখন তিনি সাড়ে তিনকাঠার উপর নির্মিত একটি ছোট বাড়ীতে নূতন জীবন শুরু করবেন । রাষ্ট্রপতি হিসেবে আবদুল হামিদের দায়িত্বভার গ্রহণ ছিলো অনেকটা স্বাভাবিক কিন্তু যাওয়াটা ছিল কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী ও ঐতিহাসিক । তাঁর পূর্বসুরি জিল্লুর রহমানের অকাল মৃত্যুর পর তিনি দেশের রাষ্ট্রপতির পদে অভিষিক্ত হন । তখন তিনি সংসদে ষ্পিকারের দায়িত্ব পালন করছিলেন । জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর কে হবেন রাষ্ট্রপতি তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছিল । রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদের ষ্পিকারই এই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত হন । সংবিধানের ৫৪ ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির পদটি খালি হলে অথবা তিনি কোন কারণে দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে সংসদের ষ্পিকারের সাময়িকভাবে দায়িত্ব পালনের বাধ্যবাধকতা আছে ।
ফিরে আসি আবদুল হামিদ প্রসঙ্গে । বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস তেমন একটা সুখকর নয় । দেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্বাধীন বাংলাদেশের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সাড়ে তিন বছরের মাথায় অত্যন্ত নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় । তিনি তখন দেশের রাষ্ট্রপতি । তাঁকে হত্যা করার পর ঘাতকের দল বঙ্গবন্ধুরই অত্যন্ত নিকটজন খোন্দকার মোশতাক আহমেদকে রাষ্ট্রপতি পদে পদায়ন করে । মোশতাককে ৮২ দিনের মাথায় সরিয়ে দেশের সেনাবাহিনীর উপপ্রধান জেনারেল জিয়া ক্ষমতা দখল করেন । মোশতাক আর জিয়া দু’জনই বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন । জিয়া ছিলেন একজন অত্যন্ত উঁচু মাপের চতুর ও উচ্চাকাঙ্খি সেনা অফিসার । তিনি শুরুতে সরাসরি রাষ্ট্রপতি বা প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ না করে দেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি এ এস এম সায়েমকে একজন সাক্ষিগোপাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে বসিয়ে নিজেই পিছন হতে দেশ শাসন করার কাজটি করেছিলেন । বিএনপি ও তাদের মিত্ররা এখন কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলে । তারা ভুলে যান যে যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় সাংবিধানিক ভাবে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠ হওয়ার কথা । পরিবর্তে তাঁকে ও তাঁর তিন রাজনৈতিক সহকর্মী, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে সরকার পরিচালনা করেছেন কারাগারে আটকে হত্যা করা হয় । তখন কোথায় ছিল গণতন্ত্র ?
এক বছর ১৬৬ দিনের মাথায় জিয়া সায়েমকে অনেকটা গলাধাক্কা দিয়ে রাষ্ট্রপতির পদ হতে পদচ্যুত করে জিয়া নিজেই রাষ্ট্রপতি বনে যান । জিয়া তখন একাধারে জোরপূর্বক রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক । এও গণতন্ত্রের আর এক রূপ । ক্ষমতায় থাকাকালে জিয়া চট্টগ্রামে এক সেনা অভ্যূত্থানে নিহত হন । তার স্থলাভিসিক্ত হন তারই উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তার । কিছুদিনের মাথায় তাঁকে হঠিয়ে সেনা প্রধান এরশাদ রাষ্ট্রপতির পদটি দখল করে তার পূর্বসুরি জিয়ার ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন । বলা হয় বিচারপতি সাত্তার রিকসায় চড়ে বঙ্গভবন ত্যাগ করেছিলেন । জিয়ার পদাঙ্কা অনুসরণ কওে এরশাদও দেশের প্রধান বিচারপতি আহসানউদ্দিনকে রাষ্ট্রপতির গদিতে বসিয়ে নিজেই একক ভাবে দেশ শাসন করতে থাকেন । একবছরের মাথায় আহসানউদ্দিনকে পদচ্যুত করে এরশাদ রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন । নব্বইয়ের গণঅভ্যূত্থানে এরশাদ ক্ষমতাচ্যূত হলে ১৯৯১ এর নির্বাচনে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি জামায়াতকে সাথে নিয়ে সরকার গঠন করে । নির্বাচনকালিন সরকারের সময় গঠিত তত্বাবধায়ক সরকারের রাষ্ট্রপতি বা প্রধান উপদেষ্ট দায়িত্বে ছিলের প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ । বেগম বিএনপি সরকার রাষ্ট্রপতি নূতন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত না করা পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন । বেগম জিয়া সরকার গঠন করার পর এই পদে আসিন হন বিএনপি’র আবদুর রহমান বিশ^াস, যিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শান্তিকমিটির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন । তিনি এক মেয়াদ এই দায়িত্ব পালন করেন ।
১৯৯৬ সালে নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে বিচারপতি সাহাবুদ্দিনকে পুনরায় রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করে শেখ হাসিনা সকলকে অবাক করে দিয়েছিলেন কারণ বিচারপতি সাহাবুদ্দিন কখনো কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না । শেখ হাসিনার এই সিদ্ধান্তের কারণে ২০০১ সালের নির্বাচনের সময় তাঁকে আফসোস করতে হয়েছে কারণ নির্বাচন কালিন সময় বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের ভ’মিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল । তিনি ছিলেন একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি, সব কিছু সরলিকরণ করতেন ।
২০২১ সালের নির্বাচনে ফের বেগম জিয়া জামায়াতকে নিয়ে ক্ষমতাসিন হন । তখনও বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের মেয়াদ শেষ হয়নি । প্রথা অনুযায়ি তিনি তাঁর পূর্ণ পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ করবেন যেমনটি করেছিলেন আবুদর রহমান বিশ^াস । তবে বেগম জিয়ার অস্থির হয়ে গিয়েছিলেন বঙ্গভবনে তাঁর রাষ্ট্রপতি নিযোগ দিতে । বেগম জিয়া তাঁর সাথে এমন আচার আচরণ করা শুরু করেন যাতে তিনি এখনই ভঙ্গভবন খালি করেন । নজিরবিহীন ভাবে তিনি বঙ্গভবনে মন্ত্রীসভার বৈঠক শুরু করেন । বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের এর মেয়াদ শেষে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ট হন বিএনপি’র একজন শীর্ষস্থানিয় নেতা ডাঃ বদরুদ্দোজা চৌধুরী । মাত্র ২১৯ দিনের মাথায় ২১ জুন ২০০২ সালে ডাঃ বদ্রুদ্দোজা চৌধুরীকে বেগম জিয়া বাধ্য করেন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন । তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি দলীয় রাষ্ট্রপতির মতো আচারণ করছিলেন না । ইতিহাসে তাঁর মতো কোন রাষ্ট্রপতিকে এত অসম্মানজনক ভাবে বঙ্গবভন ত্যাগ করতে হয় নি । তিনি বিএনপি কর্মীদের হাতে এত খারপ ভাবে নির্যাতিত হয়েছিলেন যে তাঁকে রেল লাইন ধরে একজন মোটরসাইকেল চালকের পিছনের সিটে বসে নিজ বাসা হতেও পালাতে হয় । তার বাসভবনেও আগুন দেয়া হয় । দেশের ইতিহাসে এমন একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা শুধু নজিরবিহীনই ছিল না সারা বিশে^র কাছে বাংলাদেশের মাথা হেট করে দিয়েছিল । ডাঃ বদরুদ্দোজাকে বঙ্গভবন হতে বিতারণ করার পর বিএনপি রাষ্ট্রপতি পদে আসিন করে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রাক্তন চেয়্যারম্যান ড. ইয়াজুদ্দিন আহমেদকে ।
ড. ইয়াজুদ্দিন আহমেদ কিছুটা নিরীহ প্রকৃতির মানুষ ছিলেন । এই পদে গিয়ে তিনি অনেকটা একজন ব্যক্তিত্ব রোহিত ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন বা তাঁকে হতে বাধ্য করেছিলেন বেগম জিয়া ও তাঁর পূত্র তারেক রহমান । তাঁর সাথে তাদের ব্যবহার ছিলো অনেকটা মনিব ভৃত্য সুলভ । তিন রাষ্ট্রপতি থাকা কালে তাঁর সাথে একাধিকবার আমার সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছে । মুখ ফুটে না বললেও তাঁর অসহায়ত্ব প্রকাশ পেতো আলাপ কালে । তিনি একাধিকবার বঙ্গভবনে যেতে বলেছিলেন । যাওয়া হয় নি । তাঁর ব্যক্তিত্ব মান মর্যাদার কফিনে শেষ পেরেকটা টোকা হয়েছিল বেগম জিয়ার ২০০১-২০০৬ সালের মেয়াদ শেষ হওয়ার মুহূর্তে যখন বেগম জিয়া তার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য নানা রকমের কারসাজি শুরু করেন । নির্বাচন কমিশন গঠন করেন তার বশংবদ ব্যক্তিদের নিয়ে । ভোটার তালিকায় সংযুক্ত করেন প্রায় দেড় কোটি ভূয়া ভোটার। কয়েকশত দলীয় ক্যাডারকে নিয়োগ দেয়া হয় রিটার্নিং অফিসার হিসেবে । বিচারপতিদের অবসরের বয়স পরিবর্তনের জন্য দেশের বিদ্যমান আইন পাল্টে ফেলেন যাতে দলের একজন সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান উপদেষ্ঠা হিসেবে নিয়োগ পান । দেশে শুরু হলো আর এক রাজনৈতিক অস্থিরতা । এ’রকম একটি সাজানো ছকে নির্বাচনে অংশ নিতে অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ সহ সকল রাজনৈতিক দল ।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সূত্রপাত হয় নূতন এক আন্দোলন । বিএনপি জামায়াতকে নিয়ে এই আন্দোলনকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে । না পেরে সংবিধান লংঘন করে ড. ইয়াজুদ্দিনকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হতে বাধ্য করে। দেশে এক ভয়াবহ রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় । এই প্রেক্ষাপটে শুরু হয় এক এগারোর সরকার । তত্ত্ববধায়ক সরকারের প্রধান হয়ে আসেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফখরুদ্দিন আহমেদ । ইয়াজুদ্দিন আহমেদ ফিরে যান তাঁর রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে । ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন । তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন একটান ছয় বছর ১৫৯ দিন । এরপর রাষ্ট্রপতি পদে আসিন হন আওয়ামী লীগের মনোনিত জিল্লুর রহমান ।
বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিলে পূর্বে উল্লেখিত সকল বৈধ ও অবৈধ রাষ্ট্রপতি ছাড়া বিদায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন ব্যতিক্রম । তিনি ছাত্র জীবনে ছাত্র লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন । কলেজ ছাত্র সংসদে নির্বাচিত হয়েছেন । মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ নিয়েছেন । ১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ২৫ বছর বয়সে গণপরিষদের সদস্য হিসেবে নিজ এলাকা হতে নির্বাচিত হয়েছেন । জাতীয় সংসদেও ডেপুটি স্পিকার ও স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন । আবদুল হামিদ ছিলেন মাঠ হতে উঠে আসা একজন রাজনীতিবিদ । হাওড় অঞ্চলের মানুষ । লোভ তাঁকে ছুঁতে পারেনি কখনো । তিনিই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি দুই মেয়াদে টানা দশবছর দায়িত্ব পালন করেছেন । তিন রাষ্ট্রুপতির পদটিকে তাঁর মর্যাদা ফিরিয়ে দিয়েছেন । তাঁকে বঙ্গভবন হতে রাজষিক বিদায় জানানো হয়েছে । তাঁর এই বিদায়ে আবারো আওয়ামী লীগ প্রমাণ করতে পেরেছে তারা শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তার ও দায়িত্ব পালন করতে পারে ।
সব সময় আবদুল হামিদেও কথায় ছিলো আঞ্চলিক টান । তিনি সেটা স্বাভাবিক মনে করেছেন । বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর সাথে পাঁচ বছর অনেক বিশ^বিদ্যালয়ের সমাবর্তনে বা মঞ্জুরী কমিশনের অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে বসার ও কথা বলার সুযোগ হয়েছে । বঙ্গভবনেও অনেকবার তার আমন্ত্রণে নানা অনুষ্ঠানে গিয়েছি । একবার তিনি আমার কাছে জানতে চাইলেন হাওড় নিয়ে গবেষণা করার জন্য কোন প্রতিষ্ঠান করা যায় কি না ? তাঁকে বলি অবশ্যই করা যায় তবে তা কোন বিশ^বিদ্যালয়ে হলে ভালো হয় । কথা দিলাম তাঁর ইচ্ছা মতো কাজ হবে । কিছুদিনের মধ্যেই হয় হাওড় বিষয়ে গবেষণা করার জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি গবেষণা কেন্দ্র । তাঁকে এই বিষয়ে অবহিত করলে তিনি অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলেন এত তাড়াতাড়ি ? উত্তরে বলি ইচ্ছা থাকলে অনেক কাজই দ্রুত করা সম্ভব । বলেন এই গতিতে কাজ করলে মানুষ উপকৃত হয় । তিনি অনুরোধ করেন যাতে সেন্টারের দিকে একটু খেয়াল রাখি । এখন সেই সেন্টার কেমন চলছে জানিনা । বিশ^বিদ্যালয় সমূহের চ্যান্সেলর হিসেবে শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাগবের জন্য তিনি সব সময় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে তাগাদা দিতেন ।
কেউ কেউ সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বক্তৃতার সময় নানা ধরণের হালকা কথা বলেন বলে কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করেন । আবদুল হামিদ কখনো তাঁর পাণ্ডিত্য জাহির করতে যান নি । তিনি গণমানুষের ভাষায় কথা বলেছেন । ফিরে গেছেন গণ মানুষের কাছে । ভালো থাকুন আবদুল হামিদ । কোন এক সময় অন্য কোনখানে দেখা হতে পারে । লেখক: সাবেক উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় ও সাবেক চেয়ারম্যান বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন । ২৭ এপ্রিল ২০২৩
আপনার মতামত লিখুন :