অরুন্ধতী সরকার, ওহাইও সংবাদ: OSU এর বাঙালী ছাত্র সংগঠন বাক্আই বেঙ্গলীস্ গত ১১ই ফেব্রুয়ারী জেনিংস হলে আয়োজন করেছিল সরস্বতী পূজা! সনাতন ধর্মমতে সরস্বতী বিদ্যার দেবী তাই হিন্দু বাঙালীরা চিরকাল সমস্ত বিদ্যা প্রতিষ্ঠানেই এই বাণী বন্দনার উদ্যোগ নেয় যেখানে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরাই হয় উৎসবের মূল কাণ্ডারী। এক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। পরিচালন কমিটিতে প্রধান ভূমিকায় ছিলেন রজত শুভ্র মজুমদার, অনিকেত মণ্ডল, মৌলিশুভ্র দত্ত, পৌলমী চক্রবর্তী, দেবস্মিতা মুখার্জী, শ্রেয়সী মুখার্জী, অভীক কুমার ওঝা, ওমর সরকার, শৌনক মুখার্জী ও দেবাদ্রিতা পাল। এছাড়াও OSU এর প্রাক্তনীরা এবং স্থানীয় কলাম্বাসবাসীরা সোৎসাহে যোগদান করেন। ছাত্রদের তরফ থেকে জানা গেল, এইবছর তাদের পূজা ১৬তম বর্ষে পা দিল।
শ্রীমতি পৌলমী চক্রবর্তীর পৌরোহিত্যে পুজোপাঠ সুসম্পন্ন হয়। এই সুন্দর মুহূর্তে আবার বেশ কিছু হিন্দু বাঙালী শিশু “হাতেখড়ি”র মাধ্যমে তাদের শিক্ষাজীবনের শুভ সূত্রপাত করে! বঙ্গজীবনের এ এক অন্যতম অঙ্গ! রজতশুভ্র জানান তাঁরা এবার নিজেরাই সমস্ত রান্না ও খাওয়াদাওয়ার ব্যাবস্থা করেছেন। উপস্থিত সকলেই রজত ও তাঁর বন্ধুদের এই প্রচেষ্টার যথেষ্ট তারিফ করেছেন।
সাংস্কৃতিক বিভাগেও বাক্আই বেঙ্গলীস্-এর সদস্যরা নতুন চিন্তাধারার ছাপ রাখেন! বিশেষভাবে উল্লেখ্য দেবাদ্রিতা, পূবালী, সম্রাজ্ঞী ও দেবাঙ্গনাদের নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে বিশেষ নৃত্য আলেখ্য। এরপর Penn State University থেকেও আরেকটি বড় পারফরম্যান্স ছিল। প্রাক্তন OSU এর ছাত্র সায়ন মণ্ডল, সোমনাথ বিশ্বাস এবং আর্য সিনহার “বীরপুরুষ” নামক সংগীতময় অনুষ্ঠানটিও দর্শকদের মন জয় করে।
সব মিলিয়ে এক জমজমাট সারাদিনব্যাপী বাঙ্গালিয়ানা উদযাপনের বন্দোবস্ত করেছিল বাক্আই বেঙ্গলীস্। রজতশুভ্র বারবার স্থানীয় অধিবাসীদের এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বাঙালী সগঠনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁর মতে, “এঁদের সবার সর্বাঙ্গীণ সহায়তা ছাড়া এধরনের উদ্যোগ সাফল্য মণ্ডিত হওয়া সম্ভব নয়। ভবিষ্যতে এভাবেই বাক্আই বেঙ্গলীস্ সবার ভালবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়।”
আপনার মতামত লিখুন :