অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের চিকিৎসা


ওহাইও সংবাদ প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৭, ২০২৩, ১০:০৫ অপরাহ্ণ /
অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের চিকিৎসা

ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী

অ্যালার্জিক রাইনাইটিসে নাক বন্ধ হওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি ও চুলকানির মতো লক্ষণ দেখা দেয়। অ্যালার্জিজনিত কারণে নাকের ভেতরে প্রদাহ হয়ে এ লক্ষণগুলো সৃষ্টি হয়।

অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের মূলে রয়েছে বিভিন্ন জিনিসের প্রতি অ্যালার্জি। অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ায় আমাদের দেহে হিস্টামিন নামক একটি রাসায়নিক পদার্থ বের হয়ে আসে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ সমস্যার চিকিৎসায় মূল লক্ষ্য হলো এসব লক্ষণ থেকে মুক্তি পাওয়া। লক্ষণ তেমন গুরুতর না হলে সাধারণত আপনি নিজে নিজেই সেগুলোর চিকিৎসা করতে পারবেন। তবে ঘরোয়া চিকিৎসায় কাজ না হলে কিংবা লক্ষণগুলো আরও বেড়ে গিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধা সৃষ্টি করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়।
অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের লক্ষণ
নাকের ভেতর চুলকানি অনুভূত হওয়া।
নাক থেকে পানি পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া অথবা সর্দি হওয়া।
সাধারণত অ্যালার্জি আছে এমন কোনো জিনিসের সংস্পর্শে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই এসব লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে।
বেশির ভাগ রোগীরই লক্ষণগুলো মৃদু হয়ে থাকে এবং কার্যকর চিকিৎসায় তা সহজেই সেরে যায়। তবে কিছু রোগীর ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো তীব্র হতে পারে এবং কয়েক বছর স্থায়ী হতে পারে, যা স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে কষ্টদায়ক করে দেয় এবং নানা সমস্যা তৈরি করে, যেমন– ঘুমের সমস্যা হওয়া।
অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের চিকিৎসা
অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের লক্ষণগুলো মৃদু হলে ঘরোয়াভাবেই তার চিকিৎসা করা যায়।
অ্যালার্জিক রাইনাইটিস উপশমে ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো হলো–
অ্যালার্জি উদ্রেককারী জিনিসগুলো এড়িয়ে চলা। খেলে ঘুম ঘুম ভাব আসে না এমন অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া। যেমন: ফেক্সোফেনাডিন ও বিলাস্টিন। এগুলো দেহে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ায় বের হওয়া হিস্টামিনের বিরুদ্ধে কাজ করে।
একেকজনের ক্ষেত্রে একেক ধরনের অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ ভালো কাজ করে। তাই আপনার জন্য সবচেয়ে কার্যকর ওষুধটি খুঁজে পাওয়ার আগে কয়েক ধরনের অ্যান্টিহিস্টামিন ব্যবহার করে দেখার প্রয়োজন হতে পারে।
স্যালাইন বা শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ সোডিয়াম ক্লোরাইডসমৃদ্ধ নাকের ড্রপ দিয়ে নাক পরিষ্কার করা। ফার্মেসিতে এগুলো সলো, স্যালোরাইড ইডি, এন-সল, হ্যাপিসলসহ বিভিন্ন নামে পাওয়া যায়। এগুলো নাকে থাকা অ্যালার্জি উদ্রেককারী জিনিসগুলো পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
যে তিনটি ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে–
ঘরোয়া চিকিৎসায় কাজ না হলে;
লক্ষণগুলো তীব্র হলে;
গুরুতর লক্ষণের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধা সৃষ্টি হলে, যেমন: ঘুমের সমস্যা হওয়া, দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটা ইত্যাদি।
লেখক : নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ এবং হেড-নেক সার্জন, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।