ওহাইও সংবাদ : রাইট ব্রাদার্স ওহাইও রিভার ভ্যালির যে জায়গায় প্রথম প্লেন তৈরি করে উড়েছিলেন, ঠিক সেখানেই তৈরি হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম ফ্লাইং ট্যাক্সি। এই ট্যাক্সি খাড়া হয়ে উড়বে আবার সোজা নামবে। গত সোমবার ওহাইও স্টেট এবং জবি এভিয়েশন ইনকের মধ্যে এই ফ্লাইং ট্যাক্সি বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো। চুক্তি স্বাক্ষরের পর ওহাইওর গভর্নর মাইকেল ডিওয়াইন এসোসিয়েটেড প্রেসকে এই খবরটি জানিয়ে বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত এ কারণে নয় যে ফ্লাইং ট্যাক্সি চালু হলে অনেক মানুষের কর্ম সংস্থান হবে। এ কারণে যে ইনটেলের মত প্রতিষ্ঠান জানান দিচ্ছে ওহাইও আমেরিকার ফিউচার। আমরা সেই ফিউচারের দিকে তাকিয়ে আছি।
এসোসিয়েটেড প্রেস বলছে, বিশ্বজুড়েই এখন আসছে ইলেকট্রিকেল ভার্টিকেল টেক-অফ এন্ড ল্যান্ডিং গাড়ি। সংক্ষেপে যাবে বলা হয়েছে EVTOL এয়ারক্র্যাফট। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠেছে এর শব্দ কতটা হবে এবং ইলেকট্রিক চার্জিং কতক্ষণ পরপর করতে হবে। প্রস্তুতকারকরা বলছেন, আপাতত এয়ারট্যাক্সি এপার্টমেন্ট বিল্ডিংএর ছাদ থেকে কাজের জায়গার নিকটবর্তী পার্কিং গ্যারাজের বা অফিস ভবনের ছাদে ল্যান্ড করবে। এটা হবে শাটল গাড়ির বিকল্প। একজন বা একাধিক ব্যক্তি এয়ারট্যক্সিতে চড়তে পারবেন। ডেটোনা এঢারপোর্টের কাছে এই এয়ারট্যাক্সির ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট বসছে।
উল্লেখ্য দুই ভাই অরভিল ও উইলবার রাইট ডেটোনাতেই বাস করতেন এবং কাজ করতেন। ১৯১০ সালে তারা সেখানে প্রথম এয়ারক্র্যাফট কোম্পানি খোলেন। গত সোমবার জবি এভিয়েশনের প্রতিনিধিরা অরভিল রাইটের বাড়ি থেকেই এয়ারট্যাক্সির ঘোষণা দেন। তারা জানান, এই এয়ারট্যাক্সিতে পাইলট ছাড়াও চারজন প্যাসেঞ্জারের বসার ব্যবস্থা থাকবে। এর গতিবেগ হবে ঘন্টায় ২০০ মাইল। শব্দ খুব কম হবে। ২০২৫ সাল থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে। এই প্রকল্পে জড়িত আছে টয়োটা মোটর, ডেল্টা এয়ারলাইন্স, ইনটেল এবং উবার। ৫০০ মিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পে ওহাইও স্টেট প্রশাসন ৩২৫ মিলিয়ন ডলার ইনসেনটিভ দেবে। তারা বছরে ৫০০ ফ্লাইং ট্যাক্সি ডেলিভারি দিতে সক্ষম। আর এর জন্য প্রায় ২,০০০ মানুষের কাজ হবে।
আপনার মতামত লিখুন :